‘টস’ করে অপরাধীকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ!

ইউরোপের একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র জর্জিয়া। আর সেই জর্জিয়ার ঘটল এই হাস্যকর ঘটনা৷ সেই ঘটনার জেরে দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে৷

ঘটনা হল, এক নারীকে আটকানো হয়েছিল গাড়ি দ্রুত চালানোর অপরাধে৷ সেই দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না ২৪ বছরের এক নারীকে আদৌ গ্রেফতার করা হবে নাকি হবেনা৷ তাই সিদ্ধান্ত নিতে তারা ‘টস’ করেছিলেন।

জানা গেছে, সেই ২৪ বছর বয়সী নারীকে দাঁড় করানো হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে৷ তিনি সেসময় অফিস যাচ্ছিলেন এবং তিনি কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য বের হতে দেরি করে ফেলেছিলেন৷ এরপর তিনি ১৩০ কিমি (৮০ মাইল) প্রতি ঘন্টার গতিবেগে যাচ্ছিলেন৷

পুলিশ সূত্রে খবর, সেই গতিবেগে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলেও দেখানো হয়৷ সেই দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা সেই সময় আলোচনা করেন গাড়ির ড্রাইভার সারাহ ওয়েবকে স্পিড টিকিট দিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত নাকি বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অপরাধে গ্রেফতার করা উচিত৷

সেই সময় তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় ভুগছিলেন৷ তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন একটি পয়সা নিয়ে টস করা হোক৷ “হেড পড়লে গ্রেফতার আর টেল পড়লে ছেড়ে দেওয়া৷” অফিসার কুর্টনি ব্রাউন কয়েন বের করেন এবং হাওয়ায় ছুঁড়ে দেন টস করতে৷ পয়সা পড়ে তার মোবাইল ফোনের ওপর এবং ওয়েবের বিপক্ষে যায় টস৷

এরপর ব্রাউন এবং আরেক পুলিশ অফিসার ক্রিস্টি উইলসন আলোচনা করে ভিডিও দেখে সারাহ ওয়েবের বিরুদ্ধে চার্জ লিখতে শুরু করেন৷ গত ৯ই জুলাই আদালতে শুনানির দিন তাঁর বিরুদ্ধে সব চার্জ তুলে নেওয়া হয়৷ তিনি মুক্তি পান৷ এরপর ওয়েব বলেন, “আমি আতঙ্কিত৷ কোনও ব্যক্তির গ্রেফতারের মত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা কি করে এত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে৷”

রসওয়েল পুলিশ বিভাগের চিফ রাসটি গ্রান্ট জানান এরপরই তদন্ত শুরু হয় এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে৷